আজকে আমরা আলাউদ্দিন আল আজাদের ছোটগল্পে জীবনবোধের রূপ রূপান্তরের সূচীপত্র আলোচনা করবো।

আলাউদ্দিন আল আজাদের ছোটগল্পে জীবনবোধের রূপ রূপান্তরের সূচীপত্র
আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ও কনিষ্ঠ শিল্পমাধ্যম হিসেবে ছোটগল্প আপন বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। বাংলাদেশের পল্পপ্রেমিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প পরিসর অবয়বে মানবিক অগ্রভৃতি, জীবনের জটিলতা ও সমাজবাস্তবতা উপস্থাপনে গল্প উত্তম বাহন। নানা মাত্রিক উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে বহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বহু শিল্পীর সৃষ্টিকর্মে বর্ণিল মাত্রা লাভ করেছে।
আলাউদ্দিন আল আজাদ এমনই এক লেখক। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল গল্পকার হিসেবে তিনি সাহিত্যজগতে আবির্ভূত হন। তাঁর রচিত গল্পগুলো বিষয়বৈচিত্র্যে ও রূপশৈলীতে অনন্য। সমাজ-জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকায়িত অসঙ্গতি তিনি প্রতিবাদী চেতনায় স্বচ্ছন্দে তুলে ধরেছেন। সংগ্রামী ও মেহনতি মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম দরদ ও সহানুভূতি। তাদের শক্তি ও দুর্বলতার উপর তিনি অনুসন্ধানী আলো ফেলেছেন।

সমাজের শোষিত বঞ্চিত মানুষের বহির্জগতের পাশে মনোগহনের আন্তঃবিক্রিয়াও তিনি সযত্নে নিরীক্ষা করেছেন। বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখক তিনি। তাঁর গল্পের গবেষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। গল্প রচনায় তিনি রূপবৈচিত্র্য সন্ধানী। একারণে আমার গবেষণার বিষয় নির্বাচন করা হয়েছে “আলাউদ্দিন আল আজাদের ছোটগল্পে জীবনবোধের রূপ-রূপান্তর।” অভিসন্দর্ভ রচনায় আমি তাঁর গল্প দশক ভিত্তিক বিচার বিশ্লেষণ করেছি।
আমি প্রথমেই মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যিনি আমাকে গবেষণার কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মতো শক্তি ও সুযোগ দান করেছেন। এই অভিসন্দর্ভের তত্ত্বাবধায়ক আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক আহমদ কবিরের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি অতি ব্যস্ততার মধ্যেও আন্তরিকতার সাথে সময় বের করে আমার গবেষণার প্রতিটি পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। তাঁর সুচিন্তিত অভিমত ও প্রাজ্ঞ বিবেচনা আমার অভিসন্দর্ভ রচনাকে সহজতর করে দিয়েছে। এছাড়া গবেষণার কাজে আমাকে বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রাণিত করেছেন ঢাকা সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মীবৃন্দ।

যাঁদের মধ্যে শ্রদ্ধেয় নীলুফার আপা, সালমা আপা ও তহুরা আপার নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে আমার অভিসন্দর্ভ রচনায় মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা দান করেছেন। তাছাড়া নিজের পেশাগত কর্তব্য পালন করেও এই গবেষণা কর্ম সমাপ্ত করতে আমাকে নিরন্তর উৎসাহ, সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা প্রদান করেছেন আমার স্বামী কাজী শফিকুল ইসলাম।
গবেষণাকালে আমি প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ব্যবহার করেছি। এ সূত্রে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এ প্রসঙ্গে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ঋণ স্বীকার করছি ও কৃতজ্ঞতা আপন করছি।
সূচীপত্র
প্রথম অধ্যায়
আলাউদ্দিন আল আজাদের সাহিত্যজীবন ও ছোটগল্প রচনার পটভূমি
দ্বিতীয় অধ্যায়
প্রথম পর্যায়ের গল্প (পঞ্চাশের দশক)
তৃতীয় অধ্যায়
দ্বিতীয় পর্যায়ের গল্প (ষাটের দশক)
চতুর্থ অধ্যায়
তৃতীয় পর্যায়ের গল্প (সত্তরের দশক ও অন্যান্য)
শেষ কথা
১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ পরবর্তী বাংলাদেশের সাহিত্যকে আলাউদ্দিন আল আজাদ স্বীয় সৃজনতায় সমৃদ্ধ করেছেন। আকৈশোর গল্প রচনার বাসনাবীজ পরবর্তীকালে বিরাট মহীরুহে পরিণত হয়েছে। তাঁর ছোটগল্পে বাংলার কৃষক- শ্রমিক-মুটে মঞ্জুর শ্রেণীর উজ্জ্বল চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। জীবনধর্মী শিল্পী তিনি।
নির্মোহভাবে জীবনকে নিরীক্ষা করেছেন। মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম তাকে স্পর্শ করেছে, হৃদয় দিয়ে তিনি নিম্নবিত্তের কঠোর জীবনকে তুলে এনেছেন। সেই জীবন উপস্থাপনে তিনি পরিমার্জনা করেননি বরং রূঢ়, রংবিহীন প্রকাশই যেন এই শিল্পীর প্রিয়বস্তু। জীবন সেখানে যেমন, সেখানে মানবতা ও মনুষ্যত্ব কী পর্যায়ে রয়েছে তারও এক পরীক্ষা যেন তাঁর গল্পে উঠে এসেছে।
জীবন যুদ্ধে সংগ্রামরত কৃষক জমির মালিক কিংবা মহাজনের দ্বারা প্রতারিত হয়। তারা রুখে দাঁড়াবার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। শহরের পটে বস্তিজীবন ও জীবিকা মানবতার গভীর স্তরকে ছুঁয়ে যায়। রেলের কয়লা শ্রমিক, মাঠের চাষী, রাজপথের সংগ্রামী জনতা একইভাবে উপরিকাঠামোর শোষণের শিকার।
পল্লী বাংলার মানুষ ও তাদের সমাজ বিশ্বাস প্রভৃতি তাঁর গল্পে স্থান পেয়েছে। নিরেট গ্রামবাংলার স্মৃতি তাকে যেন ব্যথিত করেছে, গল্প রচনার প্রাথমিক স্তরে গ্রামকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। মানুষের প্রতি মানুষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার কথা তিনি বলেছেন। আলাউদ্দিন আল আজাদ গল্প বর্ণনায় তির্যক ও বলিষ্ঠ। তিনি সমাজের অন্যায়-অসংগতির সমালোচনা করেছেন ও সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যাশী ছিলেন।
আলাউদ্দিন আল আজাদ ছাত্রাবস্থায় জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সঙ্গে। তাঁর সেই রাজনীতি, আন্দোলন, সংগ্রাম তাও মাটি ও মানুষেরই কল্যাণে। প্রগতিশীল ভাবনায় আন্দোলন করেছেন। তিনি ভাষা আন্দোলন করে জেল খেটেছেন। তাঁর সেই আপোষহীন মনোভাব তাঁর বহু গল্পের নায়ক চরিত্রে ব্যক্ত হয়েছে।
দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত তাঁর গল্পের নায়ক চরিত্র। এসব চরিত্র কখনো ফেরারী কর্মী আবার কখনো জেলের নির্জন সেলে মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুণতে থাকে। নাগরিক ও আন্তর্জাতিক নাগরিক জীবন তিনি উপলব্ধি করেছেন। জীবনের পরতে পরতে প্রলুব্ধ, মোহাবিষ্ট ভাবাবেগ তিনি শিল্পায়িত করেছেন। তাঁর গল্পে জীবন বাস্তবতার পরিবর্তন ঘটেছে।
সরকারি আমলা ও ধনাঢ্য পরিবার, তাদের সংস্কৃতি ও রুচিবোধ তাঁর শেষের দিকে রচিত গল্পে স্থান করে নিয়েছে। তবে গল্প রচনায় শুধুই রোমান্টিকতা নয়, বরং রোমান্টিকতা ছাড়িয়ে তিনি ফ্রয়েডের মনঃসমীক্ষণ তত্ত্বে বারবার ফিরে গেছেন। ফ্রয়েডের লিবিডোভাবনা তাঁর বহুগল্পে স্থান করে নিয়েছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা শৈল্পিক মান নিয়ে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। তাঁর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং এ পর্বের রচনা তাঁর গল্প ভুবনকে নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ করেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অভিন্ন অংশ। সচেতন ও দেশপ্রেমিক লেখক হিসেবে শিল্পের ক্যানভাসে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে আনতে চেয়েছেন। বহুমাত্রিকতায়। যুদ্ধে আক্রান্ত মানুষের আর্তি, হাহাকার, অসহায়ত্ব ও বিরোধীচক্রের ভূমিকা প্রভৃতি তিনি মমত্ব নিয়ে এঁকেছেন। মুক্তিযুদ্ধ তাকে আবার প্রতিবাদী ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যায় ক্ষণিকের জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য নিয়েও তিনি বেশ কয়েকটি গল্প লিখেছেন। সময়ের বিবর্তনে এগিয়ে গেছে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি।
আলাউদ্দিন আল আজাদ লিখেছেন সেই বিবর্তিত ও পরিবর্তিত সমাজ নিয়ে। তাঁর গল্প সর্বদা সময়ের প্রক্ষেপণ। সময়কে তিনি বয়ে নিয়ে যান শিল্পের মাধ্যমে। তিনি এখনও লেখালেখিতে সক্রিয়। মানুষের বিবেকহীনতায় এখনও তাঁর কলম প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। তিনি মানবতার কর্মী। জীবন ও সৃষ্টিকর্মে আজাদ রোমান্টিক। সৃষ্টিশীলতার শুরুতে তাঁর গল্পে যে জীবনবোধ প্রত্যক্ষ ছিল উত্তর পর্বে তাঁর পরিবর্তন ঘটেছে। সমাজ পরিবর্তন আর তাঁর ভাবনায় বিশেষ প্রত্যয় ঘোষণা করে না।
নব্বইয়ের দশকের গল্পে বরং উচ্চবিত্তের সুবিধাভোগী জীবনের ক্লেদাক্ত অংশ যেন অঙ্কিত হল। আচরিত জীবনে শিল্পের সমাজবাদী প্রতিশ্রুতি অনেকাংশে ক্ষীণতর হল। স্বাধীনতাপরবর্তী সামরিক শাসন ও বাকস্বাধীনতার রুদ্ধদশা তাঁর ছোটগল্পে বিশেষ কোন স্থান দখল করেনি। স্বৈরাচার পতন আন্দোলনও বিশেষ মাত্রা পায় নি।
সত্তর দশক পরবর্তীকালে আলাউদ্দিন আল আজাদ বিশ্বাস ও বোধে অনেকটা রূপান্তরিত মানুষ, কিছুটা ব্যক্তিক ও অন্তর্দৃঢ়; কিন্তু সাহিত্যের মানবিক ধারা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। তবে তাঁর গল্পে জীবন সত্যের যে রূপ-রূপান্তর ঘটেছে তা দৃষ্টিগ্রাহ্য। এই বিবর্তনকে শিল্পী নিজে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। এ প্রসঙ্গে আলাউদ্দিন আল আজাদ নিজেই বলেছেন :
“পরিবর্তন পর্যায়টার সূত্রপাত হয়েছে, নিরীক্ষায় যা পেয়েছি, কথা শিল্পেই প্রথম, যার প্রমাণ আমার ছোটগল্প ‘বৃষ্টি’ (১৯৫৪, জুলাই), এই রচনায় পূর্ব চেতনার ধারাবাহিকতাকে বর্জন করা হয়েছে এমন নয়, বরং নতুন প্রতিশ্রুতি ও নতুনরূপে, আরো সমৃদ্ধ করা হয়েছে। শিল্পের শ্রেষ্ঠ গুণ সত্যনিষ্ঠ ও সৌন্দর্যকে বিকশিত করা হয়েছে বক্রোক্তি ও ব্যঞ্জনায়।
‘অন্ধকার সিঁড়ি’, ‘উজান তরঙ্গে’ ‘যখন সৈকত’ গল্পগ্রন্থগুলোর গল্পগুচ্ছ এবং উপন্যাস ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’, ‘শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন’, ‘কর্ণফুলী’ বিচিত্রজীবনের যে নিগূঢ় পরিচয় বহন করছে, তা কোন ক্রমেই পলায়নী মনোবৃত্তির স্বাক্ষর নয় বরং কঠিন সত্য ও সৌন্দর্যকে ধারণ করবার সুগভীর নান্দনিক প্রয়াস। এটা শিল্পীর নব নব সৃজনশীলতারই অভিজ্ঞতা । আমার পরিবর্তন ইচ্ছাকৃত নয়, যান্ত্রিক নয়-শিল্পপ্রকৃতিরই স্বাভাবিক প্রতিফলন। ১
প্রকৃতপক্ষে আলাউদ্দিন আল আজাদের ছোটগল্পে জীবনবোধের রূপ-রূপান্তর ঘটেছে একথা সত্য। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্যকে বিষয় ও আঙ্গিকগত নিরীক্ষায় নানাভাবে ভরিয়ে তুলেছেন। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণীর জীবন তাঁর ছোটগল্পে খুঁজে পাওয়া যায়। মনস্তত্ত্বের অন্তর্ভেদী বিশ্লেষণে তাঁর গল্পভুবন হয়ে উঠেছে বহুমাত্রায় বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময়। তিনি কাহিনী বিনির্মাণে শিল্পসত্য ও শৈলী রচনাকে সমভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন।
মূলত প্রগাঢ়ভাবে জীবনের প্রতি আকুতি তাঁর ছোটগল্পে লক্ষ করা যায়। মানুষকে দেখার নিখুঁত দৃষ্টিভঙ্গির বদৌলতে মানুষের জীবন তাৎপর্যময় ও বৈশিষ্ট্যময় হয়ে উঠেছে তাঁর রচনায়। গণমুখী লেখক আলাউদ্দিন আল আজাদ। নির্মোহভাবে বাস্তবতাকে শিল্পরূপদানে তিনি তুলনাবিহীন সফল শিল্পী। তাঁর প্রতিভার হিরন্ময় দ্যুতিতে দীপ্তিময় হয়ে উঠেছে সাহিত্যের সর্বশাখা।

ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী ভাবধারায় তিনি লিখেছেন ছোটগল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাস ও সমালোচনা সাহিত্য। মানবতার এই কর্মী ও লেখক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমান যথার্থই মন্তব্য করেছেন।
“আলাউদ্দিন আল আজাদ আমাদের কালের বিরল এক প্রতিভাবান সব্যসাচী সাহিত্যস্রষ্টা।
উপর্যুক্ত আলোচনায় বলা যায়, পঞ্চাশের দশকে প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে পূর্ববাংলার প্রগতিবাদী লেখক হিসেবে আলাউদ্দিন আল আজাদ আত্মপ্রকাশ করেন। মানুষের মুক্তি সংগ্রামের এক বড় সৈনিক হিসেবে আবির্ভূত হন। কারাবাসের পর রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সংস্রব ক্ষীণ হয়ে আসে কিন্তু তাঁর লেখকসত্তা বরাবরই প্রদীপ্ত ছিল। তিনি অনবরত লিখেছেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও নাটক।
সঙ্গীতেও তাঁর অনুরাগের কথা জানা যায়। তিনি সম্পাদনা করেছেন একাধিক গ্রন্থ। তাঁর গল্প নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়া তিনি সাহিত্য সমালোচনা আর জীবনীগ্রন্থও লিখেছেন। তিনি একজন সাহিত্যিকই নন, একজন সাহিত্যসমালোচক ও সাহিত্যতাত্ত্বিক। তাঁর কলম এখনো সক্রিয়, চিত্ত সজাগ। আলাউদ্দিন আল আজাদ সাহিত্য-চিন্তায় একটি বৃত্তের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। তাই বিবর্তনের ধাপগুলিতে তাঁর নানারকম পরিবর্তন ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক তিনি । তিনি আশাবাদী লেখক এবং আত্মনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচেন তিনি। বাংলাদেশের ছোটগল্পের একজন স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত রূপকার হিসেবে তিনি সব সময় নন্দিত হবেন।